সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা, পাঁচ দিন ঝড়-বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৬:০৮

ফাইল ছবি
বাংলাদেশের উপকূলজুড়ে আষাঢ়ের বর্ষায় নতুন করে ঘনিয়ে এসেছে ঝুঁকি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ। এর মধ্যে চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা থেমে থেমে গতি পাচ্ছে। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের উপর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোর ওপর বায়ু চাপের তারতম্য বেড়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারি বর্ষণের আশঙ্কা যেসব অঞ্চলে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় (১৫ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত) ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকার পাশাপাশি খুলনা ও বরিশালের কিছু এলাকায় ভারি কিংবা অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে। এই সময় দেশের উত্তরের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হলেও নীলফামারী, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় গরমের তীব্রতা টিকে থাকতে পারে।
পরবর্তী দিনগুলোর পূর্বাভাস
🔹 ১৬ জুলাই: রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে চলবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
🔹 ১৭ জুলাই: রংপুর ও সিলেট বিভাগের পাশাপাশি ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগেও অব্যাহত থাকবে বৃষ্টির ধারা। কিছু এলাকায় হতে পারে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।
🔹 ১৮ জুলাই: চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটের অনেক অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। একইসঙ্গে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকাতেও থাকবে বৃষ্টির প্রবণতা।
🔹 ১৯ জুলাই: দেশের প্রায় সব বিভাগেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এই দিনটিতেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতির এই ধারাবাহিকতার ফলে প্রবল বর্ষণের প্রভাবে নদী উপকূল, পাহাড়ি এলাকা ও শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ সতর্কতায় বলা হয়েছে, যারা উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাস করেন বা মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত, তাদের সার্বক্ষণিক আবহাওয়ার খোঁজ রাখতে হবে।