Logo
×

Follow Us

পর্যটন

সিলেটের গোলাপগঞ্জের ‘কৃষি পর্যটন’ টানছে প্রকৃতিপ্রেমীদের

Icon

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ২১:৩৩

সিলেটের গোলাপগঞ্জের ‘কৃষি পর্যটন’ টানছে প্রকৃতিপ্রেমীদের

ইতোমধ্যে কৃষি পর্যটন উপজেলা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ। বছরজুড়েই প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা পাহাড়-টিলাঘেরা কৃষি বাগান দেখতে ভিড় করছেন উপজেলাটিতে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাশরেফুল আলম বলেন, উপজেলার ৪০টি পাহাড়-টিলায় গড়ে উঠেছে আনারসের বাগান। সঙ্গে মাল্টা, কাজুবাদাম, কফি, কমলা ও লেবুর উৎপাদন হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আনারস বাগান ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন বাগান দেখতে আসছেন গোলাপগঞ্জে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে এই উপজেলাকে পুরোপুরি কৃষি পর্যটন উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে। পুরো উপজেলায় আট শতাধিক পাহাড়-টিলা বিভিন্ন প্রজাতির কৃষি বাগানের আওতায় আনার কাজ অব্যাহত রেখেছে কৃষি বিভাগ। মাশরেফুল আলম আরও বলেন, কৃষি বিভাগের আওতাধীন বাগানগুলোতে আনারস উৎপাদনে কোনো প্রকার কৃত্রিম হরমোন ও ভিটামিনের ব্যবহার হচ্ছে না। ফসলের পাশাপাশি পর্যটকদের আগমনে এলাকার কৃষক ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, সিলেট অঞ্চলের সব টিলা-পাহাড়কে ‘ফলের টিলায়’ পরিণত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে; ফলে আমাদের ফল আমদানি কমবে।

তিনি আরও বলেন, টিলা-পাহাড়ে ফলের বাগান করায় একদিকে কর্মসংস্থান ও কৃষকের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি টিলা সংরক্ষণ হবে। সিলেটের আনারস বাগানের টিলার সৌন্দর্য বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। আগের থেকে বেশি পর্যটক যাচ্ছেন বাগান দেখতে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলার ১৯৬ হেক্টর জমিতে ৪৪টি বাগানে এক হাজার ৬১০ টন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল এক হাজার ৫৬০ টন। এছাড়াও আনারস বাগানে মাল্টা, লেবু, কফি ও কাজুবাদামের আবাদ করা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ আরও জানায়, সিলেটে অন্তত দুই হাজার ৬৬টি পাহাড়-টিলা রয়েছে। এসব টিলা লেবু, কমলা জাতীয় ফসল, কফি, কাজুবাদাম ও আনারস চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

পতিত বা অনাবাদি টিলাগুলো ফসলের আওতায় আনতে কৃষি বিভাগ দেশবিদেশে বসবাসরত টিলার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের নিজ নিজ টিলা আবাদযোগ্য করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনেকে সাড়াও দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ আগ্রহীদের পরামর্শের পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করছে।

Logo