Logo
×

Follow Us

পর্যটন

সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়, লাভের আশায় উদ্যোক্তারা

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ২১:০৪

সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়, লাভের আশায় উদ্যোক্তারা

শেরপুরে মৃগী নদীর পাশে ভোজ্যতেলের বীজের জন্য আবাদ করা সূর্যমুখী ফুলের বাগান হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের বিনোদনকেন্দ্র। নয়জন কৃষি উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে শেরপুর শহরে সাড়া জাগিয়েছেন।

টিকিটের মাধ্যমে বাড়তি আয়ও করছেন তারা। বাগানে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা প্রবেশ ফি নেওয়া হচ্ছে। অল্প টাকায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা দর্শনার্থীরা।

বাগান মালিকরা জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে পৌর শহরের মৃগী নদীর তীরবর্তী শেরী ব্রিজের পাশে সূর্যমুখীর আবাদ করা হচ্ছে।

সূর্যমুখী বাগানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাগানটি দেখে শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলাসহ জামালপুর জেলা থেকে এখানে বেড়াতে এসেছেন। ইতোমধ্যেই ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান।

কথা হয় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছাবিকুন্নাহার মিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৩০ টাকার টিকিট কেটে এই সূর্যমুখী ফুলের বাগানে প্রবেশ করেছি। ছবিতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান অনেক দেখেছি। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল না। ফুলগুলো পূর্ব দিকে মুখ করে আছে। জীবনে নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো। ফেসবুকে দেখে শহর থেকে চার বান্ধবী একসঙ্গে বাগানটি দেখতে এসেছি।

অন্য এক দর্শনার্থী রাসেল মিয়া বলেন, ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। এর আগে কখনো পরিবার নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে আসা হয়নি। সূর্যমুখী ফুলের বাগান এত সুন্দর, তাই অনেকগুলো ছবি তুলেছি। সন্তানদের কংক্রিট নয় প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই আসা।

সূর্যমুখী বাগানের উদ্যোক্তারা জানান, এখানে আমরা সরিষা চাষ করতাম। এবার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সূর্যমুখী চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ফুল এসেছে প্রায় সব গাছেই। দর্শনার্থীরা বাগানে প্রবেশ করে গাছ ও অনেক ফুল নষ্ট করে ফেলে। এরপর বিকল্প চিন্তা হিসেবে ৩০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করি। আমাদের এখানে প্রায় ১০ জন ভলান্টিয়ার রয়েছেন। তাদের খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ মিলে মোটামুটি চলছে। তবে এতো লোকসমাগম হবে, তা কল্পনা করেনি। 

আরেক উদ্যোক্তা হায়দার আলী বলেন, আমরা সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। আশা করছি, লাভবান হতে পারবো। এখানে অনেক ফুল ফুটেছে, প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসছে। আমরা বাগান, ফুল আর গাছ রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই কয়েকজন লোক রেখে দিয়েছি। তাদের বেতন দিতে ও ক্ষতি পোষাতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে টিকেটের ব্যবস্থা করেছি। তবে অনেকেই বিনামূল্যেও যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢালু জমি সূর্যমুখী চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এবার অনেক চাষিকে সূর্যমুখী প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সূর্যমুখীর ভোজ্যতেল স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। এই তেলের বাজারে চাহিদা প্রচুর। এ সানফ্লাওয়ার গার্ডেনের উদ্যোক্তাদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাগানটি কৃষি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে।

Logo