সুবর্ণচরে তারুণ্যের উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দিলেন এটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৩৮

ছবি: দ্য ফারমার্স ভয়েস
'সবাই মিলে করি বৃক্ষরোপণ, বাঁচাই প্রকৃতি বাঁচাই জীবন'— এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচরে এবারের তারুণ্যের উৎসব যেন হয়ে উঠল এক প্রাণের মেলবন্ধন। উৎসবের মূল আয়োজক ছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। শনিবার সকালে সুবর্ণচরের বিএডিসির ডাল ও তৈলবীজ বর্ধন খামার প্রাঙ্গণে শত শত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আয়োজনটি রূপ নেয় মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা। বিনা মূল্যে চারা হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে অঙ্গীকার করে বলেন, নিজের ঘর, আঙিনা কিংবা রাস্তার ধারে তারা এই চারা রোপণ করবেন। প্রকৃতিকে রক্ষা করার এই অঙ্গীকারেই উৎসবের মূল বার্তা প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জুলাই-আগস্টের কঠিন গিরিপথ পেরিয়ে ছাত্র জনতা যে
গণ-অভ্যুত্থান সফল করেছে,
তার মধ্য দিয়ে
নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ খুলেছে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আপনারা সুযোগ তৈরি করেছেন, তাই নতুন
বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বও নিতে হবে আপনাদের।
তিনি গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গাছ মানুষের
অকৃত্রিম বন্ধু। গাছ অক্সিজেন দেয়, মৌলিক চাহিদা পূরণ করে, পরিবেশকে রাখে
অনুকূলে। তাই গাছ লাগিয়ে দেশটাকে সবুজ বেষ্টনীতে পরিণত করতে হবে। আর এ কাজ
তরুণদেরই এগিয়ে নিতে হবে,
কারণ একদিন তারাই
জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।
শুধু গাছের চারা বিতরণ নয়, উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশবান্ধব ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগগুলোর একটি হলো বৃক্ষরোপণ। শিক্ষার্থীদের হাতে চারা তুলে দিয়ে মূলত তাদের মধ্যেই পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে এটর্নি জেনারেল খামার প্রাঙ্গণে নিজ হাতে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।