Logo
×

Follow Us

প্রাণিসম্পদ

স্বল্প খরচে লাভজনক কবুতর পালন: ঘরে বসেই সফলতার সুযোগ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৮

স্বল্প খরচে লাভজনক কবুতর পালন: ঘরে বসেই সফলতার সুযোগ

ছবি, এআই দিয়ে তৈরি

গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর একটি অতি পরিচিত জনপ্রিয় নাম। অতীত যুগে বার্তা আদান-প্রদানের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই পাখি। আজও বিশ্বব্যাপী কবুতরকেশান্তির প্রতীকহিসেবে বিবেচনা করা হয়। সহজে পোষ মানে, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম এই সব কারণে শহর কিংবা গ্রাম, সবখানেই বাড়ির ছাদ বা আঙিনায় কবুতর পালন করতে দেখা যায়।

কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করে অল্প সময়ে আয় করা সম্ভব। সাধারণত এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকেএকটি পুরুষ একটি স্ত্রী মিলেই একটি জোড়া গঠন করে। জীবনকাল ১২ থেকে ১৫ বছর, এবং সময়ের পুরোটা জুড়েই তারা ডিম দিয়ে বংশবৃদ্ধি করে থাকে। ডিমে তা দেয়ার কাজ স্ত্রী পুরুষ উভয়েই ভাগ করে নেয়।

কখনো জোড়া ভেঙে গেলে সাময়িক সমস্যায় পড়তে হয় বটে, তবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আলাদা ঘরে রাখলেই নতুন জোড়া গঠন সম্ভব। সব দিক বিবেচনায়, কবুতর পালনের সুবিধা অসুবিধার চেয়ে অনেক বেশি।

কবুতর পালনের লাভজনক দিকসমূহ:

উন্নত প্রজাতির একটি জোড়া বছরে গড়ে ১২ বার ডিম দেয়, যার অধিকাংশই বাচ্চায় পরিণত হয়। জন্মের - সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা বিক্রি বা রান্নার উপযোগী হয়ে ওঠে।

অন্যান্য পাখির তুলনায় কবুতরকে সহজে পোষ মানানো যায় এবং পরিচর্যার ঝামেলা কম।

অল্প জায়গায় পালন করা যায়এমনকি ছোট ঝুড়ি বা ঝুলন্ত খাঁচাতেও রাখা সম্ভব। ফলে খরচও হয় একেবারে সামান্য।

অনেক কবুতর নিজের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করতে সক্ষম। ফলে বাড়তি খাবার সরবরাহে তেমন ব্যয় হয় না।

থাকার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োজন হয় না। সাধারণ ছাদ বা উঠানে কাঠের বাক্স বা খাঁচা হলেই চলে।

ডিম পাড়ার উপযোগী হতে সাধারণত - মাস লাগে। কবুতরের বাচ্চা অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের পথ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

ডিম পাড়ার ১৮ দিনের মধ্যেই বাচ্চা ফুটে যায়। স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমে এরা নিজেরাই সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।

কবুতরের মাংস মুরগির বিকল্প হিসেবে অথবা অভিজাত পাখির মাংসের পরিবর্তে অনেকেই গ্রহণ করে থাকেন।

অল্প খরচে সহজে পালনযোগ্য এই পাখিটি ঘরোয়া আয়বর্ধক উদ্যোগ হিসেবে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

Logo