Logo
×

Follow Us

কৃষি

অনলাইনে বেগুনের বীজ কেনায় প্রতারিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৬

অনলাইনে বেগুনের বীজ কেনায় প্রতারিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা

ছবি সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বলগাড়ি গ্রামে অনলাইনে বেগুনের বীজ কিনে প্রতারণার শিকার কয়েকজন কৃষক। চার মাস অতিবাহিত হলেও গাছে ফুল বা ফল না হওয়ায় হতাশ। বীজ রোপণের পর থেকে চাষাবাদে তারা মোট ছয় লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা — যা এখন তাদের সম্পূর্ণ ক্ষতি হিসেবে রয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি নিয়মিত বসতবাগানভিত্তিক দেশি বেগুনের চাষ করেন এবং গতবারও ভালো ফলন পান। ফেসবুকেও ফলন দেখানোর পর OP কোম্পানির এক কর্মী রাসেল তার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে — বারি-১২ জাতের বেগুন চাষের পরামর্শ ও বীজ সরবরাহ করা হয়। রবিউল আষাঢ়ভিত্তিক বীজগুলি অন্য তিন কৃষকের জমিতেও রোপণ করেন।

প্রথম দিকে গাছ গজালেও ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ফুল বা ফল দেখা যায়নি। পরে যোগাযোগ করলে কোম্পানির লোকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়বদলে ওষুধ প্রয়োগসহ পরামর্শ পাওয়া যায়; তবু ফলন হয়নি — এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। রবিউল যোগ করেন, তারা বহুবার যোগাযোগ করলেও কোম্পানি ফলপ্রদ উত্তর দিতে পারছে না এবং শেষ পর্যন্ত তিনি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

আরেক কৃষক তাজমল হকও জানান, তিনি ২৫ শতক জমিতে বারি-১২ বীজ রোপণ করেন; চার মাস অতিবাহিত হলেও কোনো ফুল ধরেনি। কোম্পানির সঙ্গে কথা বললে তারা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন বলে কৃষকের অভিযোগ।

বীজ বিক্রেতা রাসেল দাবি করেছেন এটি শীতকালীন বেগুনের বীজ — শীতকালে এ জাত ভালো ফল দেয়; কিন্তু কৃষকারা আগাম চাষ করায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান বলেন, অনলাইনে নতুন জাতের বীজ বা চারা কেনার আগে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। নতুন কোনো ফসল অনলাইনে কেনার আগে বিউরো/কৃষি কর্মকর্তাদের দেখানো ও যাচাই-বাছাই করলে এ ধরনের ঝুঁকি কমত। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার সম্ভাবনা ও কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

স্থানীয়রা এখন সরকারি সহায়তা বা বিচার দাবি করছেন যাতে তাদের ক্ষতি পূরণ ও ভবিষ্যতে অনলাইন বীজ কেনার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রিত করা যায়।

Logo